SHOPPING CART
×No products in the cart.
মুসলিম স্বামীর কর্তব্য ও উত্তম নারীর বৈশিষ্ট্য
৳ 30
লেখক: ডাঃ মাওঃ মোঃ আব্দুল আলিম
বিষয়: ব্যক্তিগত ও পরিবার ও সামাজিক জীবন
মহান আল্লাহর নিকট ইসলামই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ মনােনীত দ্বীন। আর এই দ্বীনে মহান আল্লাহ নারীর মর্যাদাকে উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। নর-নারীর সমন্বয়েই মানব জাতি। নারী জাতি হল মহান আল্লাহর এক বিশেষ। নে’মত। আল্লাহ তাআলা নারীকে পুরুষের জীবন সঙ্গিনী হিসেবে মানব জীবন পরিচালনার জন্য পারস্পরিক সহযােগী করেছেন। ইসলাম মর্যাদার দিক দিয়ে নারীকে পুরুষের থেকে ভিন্ন করে দেখেনি। বরং ইসলামের আগমনেই নির্যাতিত, নিপীড়িত, অবহেলিত নারী সমাজ পেয়েছে মুক্তির সন্ধান। সারা দুনিয়াতে যখন নারীদেরকে মানুষ হিসেবে তাদের কোন মর্যাদা ও অধিকার স্বীকার করা হত না, তখন ইসলাম নারীর যথাযথ অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করে নারী জাতিকে সম্মানের সুউচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। তাই স্বামীর কাছে স্ত্রীর কিছু হক বা অধিকার আছে। যেগুলি আদায় করা স্বামীর জন্য অবশ্যই কর্তব্য। এই অধিকার গুলি যথাযথভাবে প্রদান করলে স্বামীর প্রতি স্ত্রী যেমন অনুগত হয় তেমনি তার। প্রতি স্ত্রীর ভালােবাসা-মহব্বত অটুট থাকে।
আর স্বামীর উপরে স্ত্রীর যেমন হক আছে, তেমনি স্ত্রীর উপরেও স্বামীর হক বা অধিকার আছে। স্ত্রী এসব হক বা অধিকার যথাযথভাবে আদায়। করলে সংসার সুখের হবে। তাদের মাঝে কখনাে কোন অশান্তি বাসা বাধতে পারবেনা। কখনাে কোন কারণে স্বামী রাগান্বিত হলে স্ত্রী নীরব থাকবে ও নম্রতা অবলম্বন করবে। কারণ স্বামী তার স্ত্রী ও পরিবারের কর্তা। তার শাসন করারও অধিকার আছে। আর এ শাসন স্ত্রীকে মাথা পেতে মেনে নিতে হবে। ভুল হলে ক্ষমা চাইবে। স্বামীর কাছে ক্ষমা চাওয়া অপমান নয়, বরং এতে মান-সম্মান ও মহব্বত বৃদ্ধি পায়। দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন সময় মনােমালিন্য হতে পারে। স্বামী যেহেতু বয়সে ও মর্যাদায় বড়, সেহেতু স্বামীর রাগকে বিনয়ের সাথে মানিয়ে নেওয়া উচিত। পরিশেষে আমি বলতে চাই, দাম্পত্য জীবনে যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একে অপরের হক বা অধিকার আদায় করে, তাহলে। ঐদাম্পত্য জীবন হবে সুখের ও শান্তিময়। আল্লাহপাক আমাদের সকলকে (তাওফীক দান করুন (আমীন)।
রিভিউস
There are no reviews yet.