ইসলামে নারীর ক্ষমতায়ন

অনুবাদ এবং সম্পাদনা: প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

বর্তমান সমাজে একটি ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাধির নাম নারীবাদ। এ ব্যাধিতে আক্রান্ত নারীদের দাবি, ধর্ম তাদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন। করছে না। তারা পুরুষদের মত প্রােডাক্টিভ হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। তারা চায় পুরুষদের মত খােলামেলা চলতে, তাদের মত ঘরে-বাইরে সকল কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণ অংশ নিতে। স্বনির্ভর হওয়ার বুলি শুনিয়ে নারীকে কর্মক্ষেত্রে জোরপূর্বক নিয়ে আসতে চায়। নারীবাদীরা। অথচ একটা মেয়ে বিয়ের আগ পর্যন্ত তার বাবার দায়িত্বে

থাকে। বিয়ের পরে তার দায়িত্ব চলে যায় স্বামীর কাঁধে। স্বামী বৃদ্ধ হলে এই দায়িত্ব চলে আসে সন্তানের কাঁধে। এগুলাে অধিকার। যদি কোনাে পিতা, কোনাে স্বামী, কোনাে সন্তান এই দায়িত্বগুলাে পালন না করে, তাহলে সে প্রথমে ইসলামী আইন অনুযায়ী অপরাধী হবে, পরকালেও সে আল্লাহর কাছে দায়ী হবে।

ইসলাম নারীকে যতােটা সম্মানিত করেছে, পৃথিবীর কোনাে ধর্ম ততােটা সম্মানিত করতে পারেনি। ইসলামপূর্ব যুগে নারী ছিলাে লাঞ্ছিত, অপমানিত ও অপদস্থ। কন্যা সন্তান জন্ম নিলে তাকে মাটিতে পুঁতে হত্যা করা হতাে। ইসলাম এ কাজকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে নারীদেরকে ভিন্ন মর্যাদায় উপনীত করেছে। স্ত্রী হিসেবেও ইসলাম দিয়েছে অনেক মর্যাদা। আল্লাহ বলেন, “আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার। রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে।” [সূরা আল-বাকারাহ: ২২৮]

নারীর ক্ষমতায়নের প্রকৃত রূপ এবং ইসলামের নিরিখে তা কতটুকু বৈধ তা তুলে ধরায় বইটির লক্ষণ।