কবর কিয়ামত আখিরাত

লেখক:  অধ্যপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম মক্কী
প্রকাশনায়: সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
বিষয়: পরকাল ও জান্নাত-জাহান্নাম
পৃষ্ঠা সংখ্যা:  351, কভার : হার্ডকভার

নশ্বর এ পৃথিবীতে মৃত্যু সকল প্রাণের শেষ পরিণতি । কিন্তু জ্বিন-ইনসানের জন্য মৃত্যুই শেষ ঠিকানা নয়। এই দুনিয়াতে কৃত যাবতীয় ভালাে-মন্দ কাজের পর্যালােচনা হবে কিয়ামাতের ময়দানে । হিসাব-নিকাশের ফলাফল অনুযায়ী শাস্তি বা পুরস্কার হিসেবে তার ঠিকানা হবে জান্নাত বা জাহান্নামে। 

সেই স্থায়ী ঠিকানায় পৌঁছানাের আগে মানুষকে পার হতে হবে অনেকগুলাে স্তর । সেগুলাে হলাে কবর, কিয়ামত, হাশর, পুলসিরাত ইত্যাদি। সেই সব ধাপ পার হয়ে কেউ স্বীয় দুনিয়াবী আমলের হাত ধরে পৌছে যাবে চিরশান্তির প্রতিশ্রুত আবাস জান্নাতে। আবার কেউবা মিযানের পাল্লায় নেক আমলের ঘাটতি আর অন্যায়অপরাধের আধিক্যে নিজেকে দেখবে যন্ত্রণাময় প্রজ্জ্বলিত জাহান্নামে। যার ওয়াদা তাকে দেওয়া হয়েছিলাে। “আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাহ ওয়া নাউযুবিকা মিনান্নার।” 

অত্র গ্রন্থের লেখক পরিচ্ছন্ন ভাষায় মানুষের মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ধাপগুলাে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন । কুরআন আর হাদীসের আলােকে তুলে ধরেছেন নেক্কার ও সৎকর্মশীলদের কবরের অবস্থা কেমন হবে। তাদের কিয়ামত, হাশর আর পুরসিরাত-ই বা কেমন হবে। সাথে সাথে কুরআনের ভাষায় জান্নাতের অকল্পনীয় সুখ-স্বাচ্ছন্দ আর নেয়ামতরাজীর সুখপাঠ্য সাবলীল বিবরণ দিয়েছেন। যা পাঠকদের মনকে আগ্রহী আর তৃষ্ণার্ত করে তুলবে সেই চিরশান্তির ঠিকানায় স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার জন্য। আবার একই পাঠক ভয়ে কেঁপে উঠবে, শিউরে উঠবে আতঙ্কে আর বার বার আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে, যখন সে পড়বে অসৎ কর্মশীল আর পাপী বান্দাদের কবরের ভয়াবহ পরিণতি। তাদের হাশর আর পুলসিরাতের যন্ত্রণাদায়ক কঠিন আযাবের বিবরণ। 

কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে লেখক জাহান্নামীদের আযাবের যে চিত্র তুলে ধরেছেন, বর্ণনা দিয়েছেন তাদের অন্তহীন, মৃত্যুহীন কষ্ট, শাস্তি আর যাতনার কথা, তা পাঠ করলে নিজের অজান্তেই পাঠকসুধী আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রার্থনা করবে। বইটির শেষাংশে সুযােগ্য-সব্যসাচী লেখক সহজ ভাষায় জাহান্নাম থেকে মুক্তি আর জান্নাত লাভের উপায় আলােচনা করেছেন ।